গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক তিন ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামিকে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে র্যাব-১১ সিও লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা এসব তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোসাদ্দেক সাদেক আলী (৩২) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের নয়াগাঁও এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে, মো. জাকারিয়া (৩২) একই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে এবং মো. জুলহাস দেওয়ান (৪৫) মুন্সিগঞ্জ সদরের চরমুক্তারপুরের হাজী কামাল দেওয়ানের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোসাদ্দেক ও জাকারিয়া ২০০৮ সালের ২৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন নয়াগাঁও এলাকায় শামীম হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ২০১৩ সালের ১২ জুন তাদেরকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। অপর গ্রেফতারকৃত মোঃ জুলহাস দেওয়ান ২০১৪ সালের ১৩ অক্টোবর মুন্সিগঞ্জের পশ্চিম মুক্তারপুরে নিজ পুত্র সাহাদ (৫) হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী। মুন্সিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর মোঃ জুলহাস দেওয়ানকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গত ৬ আগস্ট বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে থাকা বন্দিরা বিদ্রোহ করেন। বিদ্রোহের সময় বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে বন্দিরা চলমান দাঙ্গা-হাঙ্গামার মধ্যে দক্ষিণ অংশের পেরিমিটার ওয়াল ভেঙ্গে গর্ত করতে থাকলে তা প্রতিহত করা হয়। এ প্রতিহতকালীন সময়ে অন্য দিকে কারা অভ্যন্তরের বৈদ্যুতিক খুঁটি উপরে ফেলে মই বানিয়ে পশ্চিম দিকের দেওয়াল টপকে ২০৩ জন বন্দি পালিয়ে এবং বুলেট ইনজুরিতে ৬ জন বন্দি মারা যান। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং পলাতক সকল আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।